The Beautiful Sri Lanka:
Sri Lanka is an island country situated south of India in the Indian Ocean. The country has vastly diversified landscape with greenery and mesmerizing beaches. The best time to visit here is from November to March. We (me and my wife) visited on October'2017 and it was our first foreign trip, so, naturally we were too much excited and Sri Lanka made us awestruck in every turns and corners.
Some basic information for those who are willing to visit Sri Lanka (Indian citizen) (specially for those whose first foreign trip it is)
Sri Lanka is an island country situated south of India in the Indian Ocean. The country has vastly diversified landscape with greenery and mesmerizing beaches. The best time to visit here is from November to March. We (me and my wife) visited on October'2017 and it was our first foreign trip, so, naturally we were too much excited and Sri Lanka made us awestruck in every turns and corners.
Some basic information for those who are willing to visit Sri Lanka (Indian citizen) (specially for those whose first foreign trip it is)
- You need a valid passport.
- Plan early, select your destinations well before you are visiting. It is a whole new country, there are lots and lots of places to explore, but choose your places and fixed the dates for that before you booked the tickets for flight. It takes time to travel one city to another, so, keep the sync with your time and budget.
- Book the flight tickets early, it'll save you lots of money. We took flight from Kolkata - Bangalore - Colombo. It costs us Rs. 8000/person (one way) because we booked it almost four months prior.
- After booking done for flight, apply for VISA. You can do it from here http://www.eta.gov.lk/slvisa , it will cost $20/person for SAARC countries.
- Get some USD for exchange at Sri Lanka. USD because no agency take Indian Money for exchange and even if they agrees they demand high exchange rate, DON'T FALL FOR THE TRAP. Get your USD and exchange it after landing Colombo airport, we exchange it from Thomas Cook, they have 0 exchange rate from USD to Sri Lankan money and their office is just outside Sri Lankan immigration counter. Anyone will exchange from USD to Sri Lankan money even outside but with some charges.
A morning at Nuwara Eliya @ Sri Lanka
Day 1:
প্রথমবার দেশের বাইরে এসে যা উপলব্ধি হল (প্রথম দিন) -
১১৮ কিমি রাস্তায় আমাদের গাড়ি মাত্র দুবার হর্ন দিলো। কোন গাড়িকে লেন ক্রস করে ওভার টেক করতে দেখলাম না। অনেক অটো চলছে, তারা কলকাতার অটোর মতো যেখান দিয়ে পারলাম গুঁজে দিলাম মানসিকতায় চালায় না, নির্দিষ্ট লেন দিয়ে যাচ্ছে। পথচারীর প্রায়োরিটি গাড়ির আগে। কেউ রাস্তা পেরবে দেখলে, সব গাড়ি নিজেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। ক্যান্ডি একটি ব্যস্ত এবং জনবহুল শহর, কিন্তু জ্যামের মধ্যেও কোন গাড়িকে নিয়ম ভাংতে দেখলাম না।
সিংঘলিদের ব্যবহার মুগ্ধ করলো। আমাদের ড্রাইভার রঞ্জন ওয়াইজেসিংঘে একজন আদ্যপান্ত ভদ্রলোক। যেমনি স্মার্ট, তেমনি বিনয়ী, প্রফেসনাল, এবং ভালোমানুষ। একটি রেস্টুরেন্টের মালিকের সাথে আলাপ হলো, যিনি আমরা বাঙালি শুনে বেজায় খুশি হলেন। ভদ্রলোক সিংঘলি কিন্তু রবী ঠাকুর আর বাংলা সাহিত্যর ভক্ত - রবীন্দ্রনাথ প্রসংগে যা বল্লেন - Tagore was beyond normal human being. দুপুরে এক দিদির হোটেলে খেলাম - মনে হলো তাদের বাড়িতে খেতে এসেছি। ছোট ছোট চালের ভাত, তুর ডাল, ভেন্ডির তরকারি, মাসরুম, মাছ মাংস মিষ্টি নিয়ে প্রতি প্লেট ভারতীয় টাকায় ১৫০ টাকা পড়ল।
কিন্তু মুস্কিল অন্য যায়গায় - সাউথ ইন্ডিয়া বা কেরালিয়ান রান্নার (মৌমিতার থেকে শোনা) মতো সবেতে কারি পাতা দেয়। কি জ্বালা - মাংসতেও কারি পাতা দেখে হাল ছাড়ে খেয়েই নিলাম। অদ্ভুত ব্যাপার খাবার গুলো এক্টুও শরীর খারাপ করে না আর খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়।
ভারতীয় সময় আর শ্রীলংকান সময় একি। কলম্বো একটু গরম কিন্তু ক্যান্ডি হিল শহর বলে সুন্দর আবহাওয়া। কাল যাব নুয়ারা ইলিয়া।
Day 1:
প্রথমবার দেশের বাইরে এসে যা উপলব্ধি হল (প্রথম দিন) -
১১৮ কিমি রাস্তায় আমাদের গাড়ি মাত্র দুবার হর্ন দিলো। কোন গাড়িকে লেন ক্রস করে ওভার টেক করতে দেখলাম না। অনেক অটো চলছে, তারা কলকাতার অটোর মতো যেখান দিয়ে পারলাম গুঁজে দিলাম মানসিকতায় চালায় না, নির্দিষ্ট লেন দিয়ে যাচ্ছে। পথচারীর প্রায়োরিটি গাড়ির আগে। কেউ রাস্তা পেরবে দেখলে, সব গাড়ি নিজেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। ক্যান্ডি একটি ব্যস্ত এবং জনবহুল শহর, কিন্তু জ্যামের মধ্যেও কোন গাড়িকে নিয়ম ভাংতে দেখলাম না।
সিংঘলিদের ব্যবহার মুগ্ধ করলো। আমাদের ড্রাইভার রঞ্জন ওয়াইজেসিংঘে একজন আদ্যপান্ত ভদ্রলোক। যেমনি স্মার্ট, তেমনি বিনয়ী, প্রফেসনাল, এবং ভালোমানুষ। একটি রেস্টুরেন্টের মালিকের সাথে আলাপ হলো, যিনি আমরা বাঙালি শুনে বেজায় খুশি হলেন। ভদ্রলোক সিংঘলি কিন্তু রবী ঠাকুর আর বাংলা সাহিত্যর ভক্ত - রবীন্দ্রনাথ প্রসংগে যা বল্লেন - Tagore was beyond normal human being. দুপুরে এক দিদির হোটেলে খেলাম - মনে হলো তাদের বাড়িতে খেতে এসেছি। ছোট ছোট চালের ভাত, তুর ডাল, ভেন্ডির তরকারি, মাসরুম, মাছ মাংস মিষ্টি নিয়ে প্রতি প্লেট ভারতীয় টাকায় ১৫০ টাকা পড়ল।
কিন্তু মুস্কিল অন্য যায়গায় - সাউথ ইন্ডিয়া বা কেরালিয়ান রান্নার (মৌমিতার থেকে শোনা) মতো সবেতে কারি পাতা দেয়। কি জ্বালা - মাংসতেও কারি পাতা দেখে হাল ছাড়ে খেয়েই নিলাম। অদ্ভুত ব্যাপার খাবার গুলো এক্টুও শরীর খারাপ করে না আর খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়।
ভারতীয় সময় আর শ্রীলংকান সময় একি। কলম্বো একটু গরম কিন্তু ক্যান্ডি হিল শহর বলে সুন্দর আবহাওয়া। কাল যাব নুয়ারা ইলিয়া।
(শ্রী লংকায় দ্বিতীয় দিন)
ঘুম ভাঙার পর সকালটা দেখলাম বেশ সুন্দর, মেঘ আর রোদের খেলা ক্যান্ডি শহর জুরে। সকালের ব্রেকফাস্ট খেয়ে মন মেজাজ আরো চাংগা হয়ে গেল। শ্রী লংকান বেকারি, বিশেষ করে ক্যান্ডিতে বেশ নাম করা, আর স্বাদ আর কোয়ালিটি সত্যি প্রেমে পরার মত।
প্রথমেই গেলাম টেম্পেল অফ টুথ। বিশদে লিখলাম না, তথ্য গুগলে আছে। কিন্তু যেটা মন কারলো তা হল হাজারে হাজারে দর্শনার্থী কিন্তু একবারো ঠেলা ঠেলি বা কোন আওয়াজ টের পেলাম না। শনি মংগলবারের কালীঘাট বা দক্ষিণেশ্বর-এর কথা ভাবলাম, আর নিজেই লজ্জ পেলাম। বেশ শান্তি পেলাম, বুদ্ধের শান্ত মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে। বাইরে বেরিয়ে একচোট ভিজলাম বৃষ্টিতে, হাওয়া আর মিঠে রোদে শুকিয়ে গেলাম মূহুর্তেই। অসাধারণ রোমান্টিক ওয়েদার ক্যান্ডিতে।
এরপর, জেমস মিউজিয়াম। পৃথিবীর অন্যতম দুষ্প্রাপ্য আর দামী পাথরের জন্য শ্রী লংকা বিখ্যাত। রুবী, নিলা, পোখরাজ হাতে নাড়াচাড়া করে দেখলাম। পাথর দুই রকমের - প্রেসিয়াস (হীরা, স্যাফায়ার) যাদের কাঠিন্য ৮-এর উপর আর সেমি প্রেসিয়াস (ক্যাটস আই, মুন স্টোন)। প্রত্যেক পাথরের রং-এর গারত্ব, কাঠিন্য, কাটিং আর ক্যারেটের উপর নির্ভর করে তার দাম ঠিক হয়। এত জেনে আর দেখে লোভ সামলাতে না পেরে মৌমিতার জন্য একটা কিনেই ফেললাম!
সেখান থেকে বেড়িয়ে দুপুরের খাওয়া খেয়ে (যদি আসেন অবশ্যি শ্রী লংকান খাওয়ার খাবেন, the spice taste smell and texture are too good) রওনা দিলাম নেওয়ারা ইলিয়ার পথে।
ক্যান্ডিতে বোটানিক্যাল গার্ডেন আছে বিশাল। ঘুরে দেখতে ২ঘন্টা সময় লাগবে। আমরা শুধু অর্কিড হাউস, ক্যাকটাস হাউস, ডাবল কোকোনাট (প্রতিটি নারকোল জোড়ায় হয়, সাইজ বিশাল, পৃথিবীর বৃহত্তম বীজ এটি), পাইন এভ্যুনিউ (যা ১৯০৫ সালের রোপন করা পাইন গাছ দিয়ে বানানো) দেখলাম সময়ের অভাবে।
নেওয়ারা ইলিয়ার পথে পেলাম - হনুমান মন্দির আর সাথে অসাধারণ সুন্দর দৃশ্য, পথে কিনলাম শ্রী লংকান চা। একদম চা বাগান থেকেই।
ওহ একটা কথা বলতে ভুলে গেছিলাম - জেমস শপ আর টি ফ্যাক্টরি দুটোতেই বিজনেস হয়, অর্থাৎ বিদেশীদের জিনিস বিক্রি করে - কিন্তু সেটা তাদের অমায়িক ব্যবহার,নিজেদের সংস্কৃতি আর প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যএর প্রতি ভালোবাসা আর আতিথেয়তায় কখনো টের পাবেন না। মুখের হাসি আর অতিথি আপ্যায়ন এদের থেকে শেখার মতো।
(শেষ দিন শ্রী লংকা - রাতে এয়ারপোর্ট-এ লিখেছিলাম)
বোর্ডিং কম্পলিট। ফ্লাইটে উঠবো। মন বেশ খারাপ। শ্রী লংকা এক সুন্দর দেশ, তার মানুষগুলো বেশ ভালো। আজকে সারাদিনে একটাও ছবি তুলিনি।
কতোগুলো ছোট ছোট ঘটনা বেশ মনে রেখাপাত করে গেছে -
# ছবির মতো সুন্দর রাস্তাঘাট। আর মানুষ সেটা মেন্টেন করছে।
# সামান্য লেন ক্রস করার জন্য আমাদের ড্রাইভারকে ১০০০ টাকা ফাইন করা হলো। রাস্তার মাঝের সাদা দাগ কোনো গাড়ি ক্রস করে না।
# রাস্তার সাইডে দাঁড়ালে, এমনিতেই সব গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। এখানের মোটো Give way। আগে পথচারীদের রাস্তা দিতে হবে সেটা একজন হলেও। ৬ লেনের রাস্তা নিমেষে দাঁড়িয়ে গেল আমি পেরব বলে - কোন ট্রাফিক সিগনাল ছাড়াই।
# ২০০৯ সাল পর্যন্ত গৃহযুদ্ধে বিদ্ধস্ত একটা দেশ কি ভাবে ইনফ্রাস্টাকচরে উন্নতি করেছে, একজন নাগরিক হিসেবে অনুপ্রেরনা দেবে
# আমাদের গাইড কাম ড্রাইভার যিনি ছিলেন তিনি UK, American, Japan সহ অনেক জায়গায় ব্যবসা এবং চাকরী করেছেন। তাঁর ৪০ লক্ষ টাকার টয়োটা গাড়িতে ঘুরতে ঘুরতে দেখলাম, অর্থ এবং শিক্ষা থাকা সত্ত্বেও ড্রাইভার হিসেবে কত বিনয়ী, আর সিনসিয়ার হওয়া যায়। চেষ্টা করবো রঞ্জন ওয়াইজেসিংঘের মত মানুষ হওয়ার। যিনি ৫ দিন ট্যুরের কোনদিন ৫ সেকেন্ড লেটে আসেননি।
ঘুম ভাঙার পর সকালটা দেখলাম বেশ সুন্দর, মেঘ আর রোদের খেলা ক্যান্ডি শহর জুরে। সকালের ব্রেকফাস্ট খেয়ে মন মেজাজ আরো চাংগা হয়ে গেল। শ্রী লংকান বেকারি, বিশেষ করে ক্যান্ডিতে বেশ নাম করা, আর স্বাদ আর কোয়ালিটি সত্যি প্রেমে পরার মত।
প্রথমেই গেলাম টেম্পেল অফ টুথ। বিশদে লিখলাম না, তথ্য গুগলে আছে। কিন্তু যেটা মন কারলো তা হল হাজারে হাজারে দর্শনার্থী কিন্তু একবারো ঠেলা ঠেলি বা কোন আওয়াজ টের পেলাম না। শনি মংগলবারের কালীঘাট বা দক্ষিণেশ্বর-এর কথা ভাবলাম, আর নিজেই লজ্জ পেলাম। বেশ শান্তি পেলাম, বুদ্ধের শান্ত মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে। বাইরে বেরিয়ে একচোট ভিজলাম বৃষ্টিতে, হাওয়া আর মিঠে রোদে শুকিয়ে গেলাম মূহুর্তেই। অসাধারণ রোমান্টিক ওয়েদার ক্যান্ডিতে।
এরপর, জেমস মিউজিয়াম। পৃথিবীর অন্যতম দুষ্প্রাপ্য আর দামী পাথরের জন্য শ্রী লংকা বিখ্যাত। রুবী, নিলা, পোখরাজ হাতে নাড়াচাড়া করে দেখলাম। পাথর দুই রকমের - প্রেসিয়াস (হীরা, স্যাফায়ার) যাদের কাঠিন্য ৮-এর উপর আর সেমি প্রেসিয়াস (ক্যাটস আই, মুন স্টোন)। প্রত্যেক পাথরের রং-এর গারত্ব, কাঠিন্য, কাটিং আর ক্যারেটের উপর নির্ভর করে তার দাম ঠিক হয়। এত জেনে আর দেখে লোভ সামলাতে না পেরে মৌমিতার জন্য একটা কিনেই ফেললাম!
সেখান থেকে বেড়িয়ে দুপুরের খাওয়া খেয়ে (যদি আসেন অবশ্যি শ্রী লংকান খাওয়ার খাবেন, the spice taste smell and texture are too good) রওনা দিলাম নেওয়ারা ইলিয়ার পথে।
ক্যান্ডিতে বোটানিক্যাল গার্ডেন আছে বিশাল। ঘুরে দেখতে ২ঘন্টা সময় লাগবে। আমরা শুধু অর্কিড হাউস, ক্যাকটাস হাউস, ডাবল কোকোনাট (প্রতিটি নারকোল জোড়ায় হয়, সাইজ বিশাল, পৃথিবীর বৃহত্তম বীজ এটি), পাইন এভ্যুনিউ (যা ১৯০৫ সালের রোপন করা পাইন গাছ দিয়ে বানানো) দেখলাম সময়ের অভাবে।
নেওয়ারা ইলিয়ার পথে পেলাম - হনুমান মন্দির আর সাথে অসাধারণ সুন্দর দৃশ্য, পথে কিনলাম শ্রী লংকান চা। একদম চা বাগান থেকেই।
ওহ একটা কথা বলতে ভুলে গেছিলাম - জেমস শপ আর টি ফ্যাক্টরি দুটোতেই বিজনেস হয়, অর্থাৎ বিদেশীদের জিনিস বিক্রি করে - কিন্তু সেটা তাদের অমায়িক ব্যবহার,নিজেদের সংস্কৃতি আর প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যএর প্রতি ভালোবাসা আর আতিথেয়তায় কখনো টের পাবেন না। মুখের হাসি আর অতিথি আপ্যায়ন এদের থেকে শেখার মতো।
(শ্রী লংকায় তৃতীয় দিন)
সাত সকালে ঘুম ভাঙার পর বেশ কিছুক্ষন সময় লাগলো কেন ঘুম ভাঙল বুঝতে। দেখলাম মুখের উপর কেউ যেন টর্চ ফেলছে, কোন রকমে উঠে পর্দা সরিয়ে দেখলাম ভোর ৬টাতেই পাহারের ফাঁক থেকে সূর্য উঠে পরেছে। নুয়ারা ইলিয়ায় আমাদের হোটেলের সামনেই রেসকোর্স, ৩তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ঘর থেকেই সাজানো শহর দেখা যায়। ঘন নীল আকাশ, সাদা সাদা মেঘ, আরামদায়ক ঠান্ডায় ঘেরা একটা শহর, মিনি ইংল্যান্ড নামে পরিচিত। সকালে উঠে একটু আশপাশ হাঁটতে বেরলাম, ভোর ৭টাতেই বেশ ব্যাস্ত সবাই, রাস্তায় অনেক গাড়ি। প্রথম রাস্তা পেরতে একটু দাঁড়াচ্ছিলাম, তারপর শ্রী লংকান নিয়মে দেখলাম, রাস্তা পেরনোর উপক্রম করলেই ধীরে ধীরে সব গাড়ি দাঁড়িয়ে পরল।
দীর্ঘদিন বৃটিশ কলোনি ছিল ভারতের মতোই - কিন্তু বৃটিশদের ভালোগুলো তারা ভালোভাবে কপি করেছে - সময়ানুবর্তিতা, সহবত, শিক্ষা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আর নিজের কাজে ঠিকভাবে করা।
১০টার সময়য় গেছিলাম গ্রেগরি লেক - অনেক ওয়াটার স্পোর্ট আছে এই ম্যান মেড লেকে, কাঁচের মত নীল জল, চারদিক পাহারে ঘেরা আর ঘন সবুজ চারদিকে। সুন্দরভাবে মেন্টেন করা হয়, চোখ ফেরানো যায় না এমন নীল।
আজকে রাস্তার ধারে একটা হোটেলে খেলাম - ইল্লা মাউন্ট হেভেন। কাঁচে ঘেরা পাহারের ধারে অসম্ভব সুন্দর একটা হোটেল। কন্টিনেন্টাল খাবার অসামান্য, কিন্তু অবাক করলো ফ্লোর ম্যানেজারের ফিডব্যাক নেওয়ার প্রনালি - তিনি খাওয়ার কেমন জানবার পর জানতে চাইলেন - Are you happy? Please let us know!
যাইহোক আজকে নুয়ারা ইলিয়া থেকে ঈয়ালা ন্যাশানাল পার্ক এসেছি। এখানে গরম বেশ, আমাদের বাঁকুরার মতো লাল মাটি, গরম হাওয়া। আসার পথে সীতা মন্দির হয়ে এলাম, কথিত আছে রাবন এখানেই সীতাকে রেখেছিল, একটা বড় পাথরে মাঝে হনুমানের পদচিহ্ন বলে একটা গর্তকে পুজা করা হয়। তেমন, বিশেষ কিছু না, সিংহলিরা প্রধানত বৌদ্ধ, তাই সীতা বা রামের আর কোন মন্দির এই দেশে নেই। যদিও হনুমান মন্দির আছে।
শেষে কিছু তুলনামূলক পরিসংখ্যান
সাত সকালে ঘুম ভাঙার পর বেশ কিছুক্ষন সময় লাগলো কেন ঘুম ভাঙল বুঝতে। দেখলাম মুখের উপর কেউ যেন টর্চ ফেলছে, কোন রকমে উঠে পর্দা সরিয়ে দেখলাম ভোর ৬টাতেই পাহারের ফাঁক থেকে সূর্য উঠে পরেছে। নুয়ারা ইলিয়ায় আমাদের হোটেলের সামনেই রেসকোর্স, ৩তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ঘর থেকেই সাজানো শহর দেখা যায়। ঘন নীল আকাশ, সাদা সাদা মেঘ, আরামদায়ক ঠান্ডায় ঘেরা একটা শহর, মিনি ইংল্যান্ড নামে পরিচিত। সকালে উঠে একটু আশপাশ হাঁটতে বেরলাম, ভোর ৭টাতেই বেশ ব্যাস্ত সবাই, রাস্তায় অনেক গাড়ি। প্রথম রাস্তা পেরতে একটু দাঁড়াচ্ছিলাম, তারপর শ্রী লংকান নিয়মে দেখলাম, রাস্তা পেরনোর উপক্রম করলেই ধীরে ধীরে সব গাড়ি দাঁড়িয়ে পরল।
দীর্ঘদিন বৃটিশ কলোনি ছিল ভারতের মতোই - কিন্তু বৃটিশদের ভালোগুলো তারা ভালোভাবে কপি করেছে - সময়ানুবর্তিতা, সহবত, শিক্ষা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আর নিজের কাজে ঠিকভাবে করা।
১০টার সময়য় গেছিলাম গ্রেগরি লেক - অনেক ওয়াটার স্পোর্ট আছে এই ম্যান মেড লেকে, কাঁচের মত নীল জল, চারদিক পাহারে ঘেরা আর ঘন সবুজ চারদিকে। সুন্দরভাবে মেন্টেন করা হয়, চোখ ফেরানো যায় না এমন নীল।
আজকে রাস্তার ধারে একটা হোটেলে খেলাম - ইল্লা মাউন্ট হেভেন। কাঁচে ঘেরা পাহারের ধারে অসম্ভব সুন্দর একটা হোটেল। কন্টিনেন্টাল খাবার অসামান্য, কিন্তু অবাক করলো ফ্লোর ম্যানেজারের ফিডব্যাক নেওয়ার প্রনালি - তিনি খাওয়ার কেমন জানবার পর জানতে চাইলেন - Are you happy? Please let us know!
যাইহোক আজকে নুয়ারা ইলিয়া থেকে ঈয়ালা ন্যাশানাল পার্ক এসেছি। এখানে গরম বেশ, আমাদের বাঁকুরার মতো লাল মাটি, গরম হাওয়া। আসার পথে সীতা মন্দির হয়ে এলাম, কথিত আছে রাবন এখানেই সীতাকে রেখেছিল, একটা বড় পাথরে মাঝে হনুমানের পদচিহ্ন বলে একটা গর্তকে পুজা করা হয়। তেমন, বিশেষ কিছু না, সিংহলিরা প্রধানত বৌদ্ধ, তাই সীতা বা রামের আর কোন মন্দির এই দেশে নেই। যদিও হনুমান মন্দির আছে।
শেষে কিছু তুলনামূলক পরিসংখ্যান
ভারতের জনসংখ্যা - 134 crore
শ্রী লংকার জনসংখ্যা - 2 crore
শ্রী লংকার জনসংখ্যা - 2 crore
ভারতের শিক্ষিতের হার - 74 %
শ্রী লংকার শিক্ষিতের হার - 92 % (Highest in Asia)
শ্রী লংকার শিক্ষিতের হার - 92 % (Highest in Asia)
এখানে না আসলে ভাবতেই পারতাম না ভারতের এত কাছে এত সুন্দর একটা দেশ আছে।
(শ্রী লংকায় চতুর্থ দিন - প্রথম পর্ব)
আমাদের যাওয়ার কথা ছিল ইয়ালা ন্যাশানাল পার্ক, কিন্তু কিছু প্রানীর ব্রিডিং সিজন চলে বলে বন্ধ পেলাম। তার বদলে গেলাম Lunugamvehera National Park। এটা বেশ শুকনো জংগল, ১৮৩ রকমের পাখি, ৪৩ রকমের স্তন্যপায়ী প্রানী আর ৩৩রকমের সাপ পাওয়া যায়। একটা বিশাল জলাধারকে কেন্দ্র করে এটা তৈরী হয়েছে। ৩ঘন্টার সাফারির জিপের চার্জ ৭৫০০ শ্রীলংকান টাকা আর সাফারি চার্জ মাথা পিছু ৩৫০০ শ্রীলংকান টাকা। টাকার কথা এই কারনেই বল্লাম, শুনে একটু বাঙালি মনে খচ খচ করছিল, কিন্তু বেরিয়ে আসার পর মনে হল, টাকা এর থেকে ভালো খরচ করা যায় না। সাধারণ হাতি, কুমীর, হরিন, ওয়াটার বাফেলো, গ্রীজেল্ড জায়েন্ট স্কুইরেল, হোয়াইট বেলিড সি ঈগল, স্পট বিল্ড পেলিক্যান এসব তো দেখতে পেলামই (ভাগ্য ভালো থাকলে লেপার্ড দেখতে পারেন, অনেকেই দেখতে পায়), কিন্তু তার থেকেও বেসি যেটা পেলাম সেটা হলো অদ্ভুত একটা কালার টেক্সচার। জংগলের একপ্রান্ত ঘন সবুজ, আর একদিক জলের অভাবে শুকিয়ে সাদা সাদা, মাঝে মাঝে কিছুটা ফাঁকা প্রান্তর, রাস্তা বেশ ওয়াইল্ড (সেটা ইচ্ছাকৃত কিনা জানি না), আর জংগলের শেষপ্রান্তে একটা ওয়াটার রিসার্ভার, গাঢ় নীল জল দূরের নীল আকাশে মিশেছে - সেখানে কিছু পাহাড় অস্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আর পুরো জলে দাঁড়িয়ে আছে সার সার শুকিয়ে যাওয়া সাদা কান্ডওলা গাছ। গাড়ী দাঁড় করিয়ে টয়লেটের দিকে এগোতে গিয়ে দেখি একটা হরিন পায়ে পায়ে এগিয়ে আসছে, প্রায় গায়ের কাছেই এসে পরলো, তারপর আবার নিজের রাস্তায় চলে গেল।
পথে একটা জংলী হাতি রাস্তা আটকে দাঁড়িয়েছিল, ড্রাইভার গাড়ি দাঁড় করালো, সে সাফারি জিপের মধ্যে দিয়ে শুঁড় ঢুকিয়ে কুতকুতে চোখে তাকিয়ে রইল, বেশ অনেকক্ষন শান্ত ভাবে শুঁড় বাড়িয়ে সিটের মধ্যে ঢোকালো, কিছু খাবার না পেয়ে দু:খ দু:খ মনে দুবার আওয়াজ করলো।
এগিয়ে চল্লাম আবার। পিছনে পরে রইল নিলচে সবুজ শ্রী লংকা তার অপরিসীম সৌন্দর্য নিয়ে।
আমাদের যাওয়ার কথা ছিল ইয়ালা ন্যাশানাল পার্ক, কিন্তু কিছু প্রানীর ব্রিডিং সিজন চলে বলে বন্ধ পেলাম। তার বদলে গেলাম Lunugamvehera National Park। এটা বেশ শুকনো জংগল, ১৮৩ রকমের পাখি, ৪৩ রকমের স্তন্যপায়ী প্রানী আর ৩৩রকমের সাপ পাওয়া যায়। একটা বিশাল জলাধারকে কেন্দ্র করে এটা তৈরী হয়েছে। ৩ঘন্টার সাফারির জিপের চার্জ ৭৫০০ শ্রীলংকান টাকা আর সাফারি চার্জ মাথা পিছু ৩৫০০ শ্রীলংকান টাকা। টাকার কথা এই কারনেই বল্লাম, শুনে একটু বাঙালি মনে খচ খচ করছিল, কিন্তু বেরিয়ে আসার পর মনে হল, টাকা এর থেকে ভালো খরচ করা যায় না। সাধারণ হাতি, কুমীর, হরিন, ওয়াটার বাফেলো, গ্রীজেল্ড জায়েন্ট স্কুইরেল, হোয়াইট বেলিড সি ঈগল, স্পট বিল্ড পেলিক্যান এসব তো দেখতে পেলামই (ভাগ্য ভালো থাকলে লেপার্ড দেখতে পারেন, অনেকেই দেখতে পায়), কিন্তু তার থেকেও বেসি যেটা পেলাম সেটা হলো অদ্ভুত একটা কালার টেক্সচার। জংগলের একপ্রান্ত ঘন সবুজ, আর একদিক জলের অভাবে শুকিয়ে সাদা সাদা, মাঝে মাঝে কিছুটা ফাঁকা প্রান্তর, রাস্তা বেশ ওয়াইল্ড (সেটা ইচ্ছাকৃত কিনা জানি না), আর জংগলের শেষপ্রান্তে একটা ওয়াটার রিসার্ভার, গাঢ় নীল জল দূরের নীল আকাশে মিশেছে - সেখানে কিছু পাহাড় অস্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আর পুরো জলে দাঁড়িয়ে আছে সার সার শুকিয়ে যাওয়া সাদা কান্ডওলা গাছ। গাড়ী দাঁড় করিয়ে টয়লেটের দিকে এগোতে গিয়ে দেখি একটা হরিন পায়ে পায়ে এগিয়ে আসছে, প্রায় গায়ের কাছেই এসে পরলো, তারপর আবার নিজের রাস্তায় চলে গেল।
পথে একটা জংলী হাতি রাস্তা আটকে দাঁড়িয়েছিল, ড্রাইভার গাড়ি দাঁড় করালো, সে সাফারি জিপের মধ্যে দিয়ে শুঁড় ঢুকিয়ে কুতকুতে চোখে তাকিয়ে রইল, বেশ অনেকক্ষন শান্ত ভাবে শুঁড় বাড়িয়ে সিটের মধ্যে ঢোকালো, কিছু খাবার না পেয়ে দু:খ দু:খ মনে দুবার আওয়াজ করলো।
এগিয়ে চল্লাম আবার। পিছনে পরে রইল নিলচে সবুজ শ্রী লংকা তার অপরিসীম সৌন্দর্য নিয়ে।
(শেষ দিন শ্রী লংকা - রাতে এয়ারপোর্ট-এ লিখেছিলাম)
বোর্ডিং কম্পলিট। ফ্লাইটে উঠবো। মন বেশ খারাপ। শ্রী লংকা এক সুন্দর দেশ, তার মানুষগুলো বেশ ভালো। আজকে সারাদিনে একটাও ছবি তুলিনি।
কতোগুলো ছোট ছোট ঘটনা বেশ মনে রেখাপাত করে গেছে -
# ছবির মতো সুন্দর রাস্তাঘাট। আর মানুষ সেটা মেন্টেন করছে।
# সামান্য লেন ক্রস করার জন্য আমাদের ড্রাইভারকে ১০০০ টাকা ফাইন করা হলো। রাস্তার মাঝের সাদা দাগ কোনো গাড়ি ক্রস করে না।
# রাস্তার সাইডে দাঁড়ালে, এমনিতেই সব গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। এখানের মোটো Give way। আগে পথচারীদের রাস্তা দিতে হবে সেটা একজন হলেও। ৬ লেনের রাস্তা নিমেষে দাঁড়িয়ে গেল আমি পেরব বলে - কোন ট্রাফিক সিগনাল ছাড়াই।
# ২০০৯ সাল পর্যন্ত গৃহযুদ্ধে বিদ্ধস্ত একটা দেশ কি ভাবে ইনফ্রাস্টাকচরে উন্নতি করেছে, একজন নাগরিক হিসেবে অনুপ্রেরনা দেবে
# আমাদের গাইড কাম ড্রাইভার যিনি ছিলেন তিনি UK, American, Japan সহ অনেক জায়গায় ব্যবসা এবং চাকরী করেছেন। তাঁর ৪০ লক্ষ টাকার টয়োটা গাড়িতে ঘুরতে ঘুরতে দেখলাম, অর্থ এবং শিক্ষা থাকা সত্ত্বেও ড্রাইভার হিসেবে কত বিনয়ী, আর সিনসিয়ার হওয়া যায়। চেষ্টা করবো রঞ্জন ওয়াইজেসিংঘের মত মানুষ হওয়ার। যিনি ৫ দিন ট্যুরের কোনদিন ৫ সেকেন্ড লেটে আসেননি।
কালকে আমার শ্রী লংকা ভ্রমন শেষ দিন। অনেকেই জানতে চেয়েছিল তাই মোটামুটি খরচের হিসেব দিলাম, আর দরকারি কিছু তথ্য -
১. প্রথম কাজ ফ্লাইটের টিকিট কাটা। ৩-৪ মাস বা তার আগে প্লান করুন। অনেক অনলাইন সাইটে বিভিন্ন অফার পাবেন। মোটামুটিভাবে যাতায়াত মিলে খুব কম করে INR 15,000 পরবে। কোলকাতা থেকে ডাইরেক্ট ফ্লাইট নেই, ভায়া চেন্নাই বা ব্যাংগালোর। যদি কেউ ব্যাংগালোর থেকে যান খরচা অর্ধেক হবে।
২. যাওয়ার কিছুদিন আগে অনলাইন ভিসা এপ্লাই করুন, ইমিগ্রেশনে সুবিধা হবে। ভিসার চার্জ $20/person
৩. আমি যে সংস্থার সাথে এসেছি, তারা যথেষ্ট ভালো ঘুরিয়েছে, এসি গাড়ি, ৩/৪ স্টার হোটেল সমেত ৫দিনে $350/person নিয়েছে (ডিনার এবং লাঞ্চ নিজস্ব)। চাইলে আমি ডিটেল দিতে পারি পারসোনাল চ্যাটে।
৪. আসার আগে কোলকাতা থেকে ভারতীয় টাকা থেকে আমেরিকান ডলার করিয়ে নিন এন্ট্রি ফি ও অন্যান্য খরচের জন্য। ভারতীয় টাকা থেকে সহজে কেউ ট্রান্সফার করতে চায় না দেশের বাইরে বা ব্রোকারেজ বেশী নেয় (৩০০০-৪০০০ টাকা বা তার বেশী ব্রোকারেজ)। শ্রী লংকা এয়ারপোর্ট থেকে বেরোনোর সময় Thomas Cook money exchangers আছে। জিরো ব্রোকারেজে ডলার থেকে শ্রী লংকান মানি করে দেয়। এরা কিন্তু ভারতীয় টাকা নেয় না।
৫. এন্ট্রি ফি'র ডিটেল দিলাম (In Sri Lankan Rupee)-
1. Pinnawala Elephant Orphanage entry fee - 700/person
Feeding elephant - 350/person
2. Cultural Show at Kandy - 1000/person
3. Temple of tooth - 1500/person
4. Royal Botanical Garden Kandy - 2000/person
5. Gregory Lake - 4000 + Parking + Entry (1000)
6. Safari - 3500/person + 6500
7. Turtle hatchery - 1000/person
আরো দুএকটা যোগ হবে, এই গুলো কম্পালসরি।
৬. চেষ্টা করবেন রাস্তার ধারের অনেক ভালো ভালো হোটেল আছে সেইগুলি থেকে খেতে। ব্যুঁফে (buffet) তে খাবেন, ৫০০-৭০০/জন ভালো খাওয়ার পাওয়া যায়।
৭.নেট ব্যাংকিং থাকলে ডেবিট কার্ড ইন্টারন্যাশানাল করিয়ে নিয়ে যাবেন, ভিসা এবং মাস্টার্ড কার্ড সর্বত্র ব্যবহার করা যায়।
৮. সিম ইন্টারন্যাশনাল রোমিং করাতে পারেন (এয়ারটেল থ্রীজি সর্বত্র পাওয়া যায়) বা নতুন সিম টেম্পোরারি এয়ারপোর্ট থেকে নিতে পারেন। INR 1500 মতো খরচা
১. প্রথম কাজ ফ্লাইটের টিকিট কাটা। ৩-৪ মাস বা তার আগে প্লান করুন। অনেক অনলাইন সাইটে বিভিন্ন অফার পাবেন। মোটামুটিভাবে যাতায়াত মিলে খুব কম করে INR 15,000 পরবে। কোলকাতা থেকে ডাইরেক্ট ফ্লাইট নেই, ভায়া চেন্নাই বা ব্যাংগালোর। যদি কেউ ব্যাংগালোর থেকে যান খরচা অর্ধেক হবে।
২. যাওয়ার কিছুদিন আগে অনলাইন ভিসা এপ্লাই করুন, ইমিগ্রেশনে সুবিধা হবে। ভিসার চার্জ $20/person
৩. আমি যে সংস্থার সাথে এসেছি, তারা যথেষ্ট ভালো ঘুরিয়েছে, এসি গাড়ি, ৩/৪ স্টার হোটেল সমেত ৫দিনে $350/person নিয়েছে (ডিনার এবং লাঞ্চ নিজস্ব)। চাইলে আমি ডিটেল দিতে পারি পারসোনাল চ্যাটে।
৪. আসার আগে কোলকাতা থেকে ভারতীয় টাকা থেকে আমেরিকান ডলার করিয়ে নিন এন্ট্রি ফি ও অন্যান্য খরচের জন্য। ভারতীয় টাকা থেকে সহজে কেউ ট্রান্সফার করতে চায় না দেশের বাইরে বা ব্রোকারেজ বেশী নেয় (৩০০০-৪০০০ টাকা বা তার বেশী ব্রোকারেজ)। শ্রী লংকা এয়ারপোর্ট থেকে বেরোনোর সময় Thomas Cook money exchangers আছে। জিরো ব্রোকারেজে ডলার থেকে শ্রী লংকান মানি করে দেয়। এরা কিন্তু ভারতীয় টাকা নেয় না।
৫. এন্ট্রি ফি'র ডিটেল দিলাম (In Sri Lankan Rupee)-
1. Pinnawala Elephant Orphanage entry fee - 700/person
Feeding elephant - 350/person
2. Cultural Show at Kandy - 1000/person
3. Temple of tooth - 1500/person
4. Royal Botanical Garden Kandy - 2000/person
5. Gregory Lake - 4000 + Parking + Entry (1000)
6. Safari - 3500/person + 6500
7. Turtle hatchery - 1000/person
আরো দুএকটা যোগ হবে, এই গুলো কম্পালসরি।
৬. চেষ্টা করবেন রাস্তার ধারের অনেক ভালো ভালো হোটেল আছে সেইগুলি থেকে খেতে। ব্যুঁফে (buffet) তে খাবেন, ৫০০-৭০০/জন ভালো খাওয়ার পাওয়া যায়।
৭.নেট ব্যাংকিং থাকলে ডেবিট কার্ড ইন্টারন্যাশানাল করিয়ে নিয়ে যাবেন, ভিসা এবং মাস্টার্ড কার্ড সর্বত্র ব্যবহার করা যায়।
৮. সিম ইন্টারন্যাশনাল রোমিং করাতে পারেন (এয়ারটেল থ্রীজি সর্বত্র পাওয়া যায়) বা নতুন সিম টেম্পোরারি এয়ারপোর্ট থেকে নিতে পারেন। INR 1500 মতো খরচা
Where the ocean bows down , Srilanka ! Effective informations bdw.
ReplyDelete