Ladakh "Land of high Passes" ~

Brief Itinerary & Costing (Leh, Ladakh 10days, 9Nights) 
We booked our journey under Right Wings Tours & Travels and Mr. Zulfiqar Ali is a jem (Ph - +91 9419004173). We never faced any difficulty through out our trip, hotels and tents were very much up to the mark, the drivers were very very experienced, well behaved and friendly (you need a good car and superb driver in one of the toughest terrain of the world)
* Our package was RS 21500/- @ per person
* Inner Line Permit is extra and not included
* Package includes - all accommodations, dinner and breakfast, dedicated vehicle from & to the airport include all journey and transfers
Our Route was -
Day 1 - Arrive at Srinagar, Srinagar sight scenes, stay at Houseboat in DalLake
Day 2 - Srinagar to Kargil (Includes Sight scenes and Sonmarg)
Day 3 - Kargil to Leh (+ Sight scenes)
Day 4 - Leh Sight scenes
Day 5 - Leh to Nubra via Khardungla Pass (+ Sight scenes)
Day 6 - Nubra sight scenes + Extra Rs 200 / person if you wish to visit border at Turtuk
Day 7 - Nubra to Pangong (+ Sight scenes)
Day 8 - Pangong to Tsomoriri (+ Sight scenes)
Day 9 - Tsomoriri to Leh (+ Sight scenes)
Day 10 - Departure from Leh Airport
Total nearly 1400Km in world's one of the highest Motorable terrain.

Precaution - Don't panic. There is plenty of Oxygen. Still you can use Appy Juice & Camphor for relief. Portable Oxygen cylinder, and other SoS medicines are required to be carried but you don't have to use them (You can carry Diamox for precaution and 
Deriphyllin Retard for SOS).

View of Leh from Thiksey Monastery 

(১ম দিন)
যবে থেকে একটু আধটু বেড়াতে যাই, সার্চ করি, লাদাখ যাওয়ার একটা ইচ্ছা ছিল বিশাল, কিন্তু প্ল্যান প্রোগ্রাম করা হয়ে উঠছিল না। Piya Datta এর জন্য সেটা সম্ভব হল। আমরা আজ সকালে দিল্লী হয়ে শ্রীনগর এসে পৌছালাম। আজ হাউস বোটে ডাললেকে আছি, কাল এখান থেকে কার্গিল রওনা দেব সকালে।
দুপুর আরাইটে নাগাদ শ্রীনগর পৌছে রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলা শুরু করতেই একটা অস্বস্তি শুরু হল, রাস্তার মোরে মোরে দাঁড়িয়ে আছে মিলিটারী বা আধাসামারিক বাহিনীর জওয়ানরা, হাতে রাইফেলের সাথে ব্যাটন, পায়ে গার্ড, মাথায় হেলমেট - জীবন যে স্বাভাবিক নয় সেই চিহ্ন স্পষ্ট। মুঘল গার্ডেন (শালিমার, চাশমা সাহি) দেখতে ঢুকেছিলাম, কিন্তু ইদের পরের দিন বলে অস্বাভাবিক স্থানিয় লোকের ভীর (এবং অস্বস্তিকর, সাথের মহিলাদের এবং ক্যামেরা আর টাকা পয়সা সামলাতে সামলাতেই অবস্থা খারাপ)। শালিমার গার্ডেনের ফোয়ারা একটা অসাধারণ জিনিস, ফোয়ারার জলে রামধনু সৃষ্টি হয়ে ম্যাজিকাল মোমেন্টের সৃষ্টি হয় আর কোনো পাম্প চালানো ফোয়ারা নয়, জলের সমোচ্চতা ধর্মকে কাজে লাগিয়ে ধাপ ধাপ ফোয়ারা তৈরি করা হয়েছে। চারপাশে পাহাড়ে ঘেরা অসম্ভব সুন্দর একটা জায়গা ১৬০০ শতাব্দীতে তৈরি করার জন্য মোঘল বাদশাদের একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য। তারপর কাশ্মীরী শাল আর কার্পেটের দোকানে গেছিলাম, মুগ্ধ করার মতো শাল আর কার্পেট, কার্পেটের রেঞ্জ ১০০০০ টাকা থেকে ২লাখ টাকা প্রায়, শালের ১০০০ থেকে ১৫-২০০০০। দিনের শেষে শ্রীনগরের কাবাব কিনে সবাই মিলে শিকারায় করে হাউস বোটে এলাম। রাস্তার যা অবস্থা, বেশীক্ষন বাইরে থাকার রিস্ক নিলাম না। ইদের পরে সব আউট অফ কন্ট্রোল। কালকে কার্গিল থেকে লিখব....
Shalimar Garden, Srinagar

Mughal Gurden, Srinagar


Day - 2 : On the way to Sonmarg
(২য় দিন)
আজ খুব ক্লান্ত, ঘন্টা দুয়েক আগে কার্গিল এসে পৌছেছি। আজকের আট হাজার থেকে কালকে দশ হাজার ফিট উঠতে হবে, ভেবেই আজকে ঘুম পাচ্ছে। 
সকালে প্রায় সারে নটায় শ্রীনগর থেকে যাত্রা শুরু করেছিলাম কার্গিলের উদ্দেশ্যে। মাঝে সোনমার্গ দাঁড়াবো বলে বেড়িয়েও বার দুইতিন দাঁড়িয়ে পড়লাম রাস্তায় অসাধারণ সুন্দর প্রকৃতিকে ক্যামেরা বন্দি করতে। এখানে আখরোট বেশ ভালো পাওয়া যায়, কিনতে পারেন ইচ্ছা হলে। সোনমার্গ যাওয়ার জন্য গাড়ি থাকে নেমে ঘোড়ায় চাপতে হবে। ঘোড়ার ভাড়া আপনি কতটা বার্গেন করতে পারেন তার উপর। আমাদের মোট ৯০০০টাকা চেয়েছিল ৬টা ঘোড়ার জন্য, পরে ৫৪০০ টাকায় নিয়ে যায়, যদিও এর থেকে কমেও অনেকে পায়। তবে টাকা আর ঘোড়ায় চাপার জন্য মিস করবেন না, দারুন সুন্দর জায়গা। ঘোড়া ব্যাপারটা একটু নরবরে, প্রথম দিকে বেশ অসুবিধা হয়, আমাদের Raja অন্তত ৫০-৬০ বার চিতকার করে বলেছে ওকে নামিয়ে দিতে, কিন্তু আমি বেশ আরাম করেই চড়েছি। যদিও এই সময় বরফ পাওয়ার কোন চান্স নেই, মে মাস পর্যন্ত বরফ পাওয়া যায়। ফিরে এসে রাস্তার হোটেলে লাঞ্চ করে কার্গিলের দিকে এগোলাম, এখানে নারকোলের একটা পেঁড়া কাম কুকিস টাইপ জিনিষ পাওয়া যায়, খেয়ে দেখবেন দারুন।
কার্গিলে ঢোকার আগে দ্রাস আর জিরো পয়েন্ট পাবেন, লাদাখের বিখ্যাত সেই লম্বা কালো রাস্তা পাবেন পাহাড়ের বুক চিরে ফটোগ্রাফির স্বর্গ রাজ্য। না হলেও রাস্তার ধারে পাথরে বসে থাকলেও বেশ স্বর্গ স্বর্গ ফিল পাবেন।
এর পর টাইগার হিল আর টোলোলিং হিলের সামনে কার্গিল ওয়ার মেমোরিয়াল। বিশ্বাস করুন, চোখে জল আসবে, গায়ে কাঁটা দেবে। এই সেই বিখ্যাত পাহাড় চুড়া যা কার্গিল যুদ্ধের সময় পাকিস্থান দখল করেছিল। অনেক প্রানের বিনিময়ে হাসিল করা সেই পাহাড় চুড়ার নিচে উড়ছে জাতীয় পতাকা। বেশ কিছুটা অসাধারণ স্মৃতি পকেটে পুরে এসে পৌছালাম কার্গিল। এখন হোটেলে, কাল সকাল সাতটায় বেড়িয়ে পড়ব লেহ'র উদ্দেশ্যে। রাস্তা একমাত্র জোজিলা পাশ ছাড়া ভিষনভালো মেন্টেন করা। কাল লেহ থেকে লিখবো...

Kargil War Memorial, Kargil


Sonmarg

(৩য় দিন)
সকালে ৮টার মধ্যে বেরিয়ে পরেছি লেহ'র উদ্দেশ্যে, ভূপ্রকৃতি আস্তে আস্তে রুক্ষরূপ নিচ্ছিল কাল থেকেই। আজকে চারদিকে বিভিন্ন রঙের পাহাড়, মাঝে কালো ঝকঝকে চওড়া রাস্তা দিয়ে চলেছি৷ গাছ কেন, ঘাস বা সবুজ অনেক দূর দূর অবধি নেই। খুব শুষ্ক বাতাস, তবে ঠান্ডা তেমন নেই। আজকে লেহ ঢোকার আগে থেকেই আমার একটু অল্টিচুড সিকনেস হচ্ছিল। এপি জুস খেয়ে এখন অনেকটাই বেটার আছি (যারা আসবেন টেনসন নেবেন না, রিলাক্সড থাকবেন আর লিক্যুইড বেশী খাবেন)। 
লামাউরু মনেস্ট্রি অবশ্যই থামবেন, মনেস্ট্রির বাইরে বাম আর ডান দিকে অসামান্য প্রকৃতির রূপ। ম্যাগনেটিক হিলে কোন ম্যাগনেটিক ফিল হল না। বাকি যদি পারি কাল লিখবো। কালকেও লেহ তেই থাকছি..



Magnetic Hill, On the way of Leh

Lamayuru

(৪র্থ দিন - লেহ)
গেল গেল গেল... সবাই আঁতকে উঠে চেঁচালো। আমি চোখের সামনে দেখলাম নিচে পড়ে যাচ্ছে, কিন্ত কারুর কিছু করার নেই, ততক্ষনে নিচে পড়ে তার অন্তিম শ্বাস চলছে। এতদিন আমাদের সাথে একসাথেই ঘুরছিল। আমার মোবাইল... যার এখনো ৪টে ইন্সটলমেন্ট পেমেন্ট বাকি, আজকে লাঞ্চ করতে বসে লেহ প্যালেসের সামনে সে ভূপতিত হল এবং স্ক্রিন ফেটে চৌচির হল। 
কালকে যা বলেছিলাম, শরীর বেশ খারাপ ছিল, আজকে তাই বেলা করেই বেড়িয়েছিলাম সবাই, ১১টা নাগাদ। এখানে ৭টা - সারে ৭টা অবধি বেশ আলো থাকে তাই তারাহুরো নেই। প্রথমেই গেলাম "হল অফ ফেম", ইন্ডিয়ান আর্মির, লেহ এয়ার পোর্টের একদম পাশেই। এর মুক্ষ বিষয় হল - ভারত-পাকিস্থান এবং ভারত-চীন যুদ্ধে ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্র, ছবি, মডেলের সংগ্রহশালা। ভারতীয় সেনা, তার যুদ্ধ বিবরণী এবং আরো কিছু। টিকিট ১০০টাকা, ক্যামেরা এবং মোবাইলের আলাদা টিকিট লাগে, সুতরাং একটাই ক্যামেরা বা মোবাইল ব্যবহার করুন। এর ঠিক পাশেই আছে এডভেঞ্চার স্পোর্টস কমপ্লেক্স আর্মি ট্রেনিং-এর কিছু কৌশল এবং টেকনিক আপনি হাতে কলমে করতে পারেন, ডিফিকাল্টি লেভেল - ইজি।
এর পরের গন্তব্য " শান্তি স্তুপা", ১৯৯১ সালে তৈরি এই স্তুপা থেকে আপনি গোটা লেহ শহরটা দেখতে পাবেন। খারদুংলা পাস থেকে শুরু করে লেহ প্যালেস, সবই। এখানে কোন প্রবেশ মূল্য নেই।
এরপর গেলাম লেহ প্যালেস। সত্যি বলতে যা দেখার বাইরে থেকেই, ভেতরে আপনি শুধু শুধু সিঁড়ি ভেঙে উঠে হাঁপিয়ে হাঁকপাঁক করবেন, কিন্তু সব বৃথা, কিছু দেখার নেই। ১৫৫৩ সালে তৈরি হওয়া এই প্যালেস, সেই সময়ের উচ্চতম ইমারত ছিল। এর পাশেই একটা বেশ ভালো রেস্টুরেন্ট আছে, ন্যুডলস, জুস এসব বেশ ভালো পাওয়া যায়। বিরিয়ানিও পাওয়া যায়, একদম অন্য স্বাদের।
এখান থেকে আজকের আমাদের শেষ গন্তব্য থিকসে মনেস্ট্রি। প্রচুর সিঁড়ি ভাঙার জন্য রেডি থাকুন। বেশ ভালো প্যানরমিক ভিউ পাবেন। এখানে ৫০ফুট উঁচু (দোতলা সমান) বুদ্ধমূর্তি আছে। নেমে এলাম অনেক শান্তি নিয়ে। কালকে যাবো খারদুংলা (পৃথিবীর উচ্চতম গাড়ি চলাচলের পাস) দিয়ে নুব্রা ভ্যালি...

Shanti Stupa, Leh

Leh Palace, Leh

Thiksey Monastry, Leh


(৫ম দিন) (এই লেখা ২৭শে আগস্ট-এর)
আজকে আমরা রওনা দিলাম ন্যুব্রা ভ্যালির উদ্দেশ্যে। রাস্তা অত্যন্ত দূর্গম বলে শুনেছিলাম, খারদুংলা পাস হয়ে যায়। এটি পৃথিবীর উচ্চতম মটোরেবল পাস (উচ্চতা ১৭৯৮২ ফুট, সর্বোচ্চ পিক-এ)। এখানে অনেকেই অক্সিজেনের অভাব বোধ করেন বলে শোনা যায়, যদিও আমাদের গ্রুপের বাঘা বাঘা পর্বতারোহিদের কোন প্রবলেম হয়নি। আমি আর রাজা যদিও একটা করে Appy খেয়ে সামাল দিয়েছিলাম (গোটা জার্নির সব থেকে দূর্বল মানুষ আমরাই সেটা প্রমান করলাম)। সাবধানতার জন্য বেশ কিছু মেডিসিন আছে সেইগুলো পরে বলব - তার বদলে Appy খেয়ে আর কর্পুর শুঁকে আপনি দিব্বি চারপাশের মজা নিতে পারেন। আপাতকালিন পরিস্থিতির জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডারও সাথে রাখতে হয়।
খারদুংলা পেড়িয়ে যত ন্যুব্রা'র মধ্যে দিয়ে যাবেন অদ্ভুত ভূপ্রকৃতি দেখতে পাবেন। চারদিক উঁচু পাহাড় দিয়ে ঘেরা একটা ভ্যালি, যেটা ভ্যালি কম আর মরুভূমি বেশী মনে হবে। এখানে পানামিকে একটা উষ্ণ প্রস্রবন আছে, যেতে পারেন কিন্তু দেখার বিশেষ কিছু নেই।
ন্যুব্রা'র স্যান্ড ডিউনস বিখ্যাত। অবিকল মরুভূমির মতই বালির টিলা আর যতদুর চোখ যায় শুধু পাহাড়ে ঘেরা বালিয়ারি। এক নির্মম সৌন্দর্য যা ভারতে এক মাত্র লাদাখ ছাড়া আর কোথাও পাবেন না। পাশে Shyok নদী বয়ে চলেছে, যা সিন্ধু নদের উপনদী এবং সিয়াচেন গ্লেসিয়ার থেকে শুরু হয়ে লাদাখ পেড়িয়ে পাকিস্তানে ঢুকেছে, এছাড়া নুব্রা নদীও আছে । আমরা সবাই সেখানে ATV বাইক চালালাম। ১০০০ টাকা ভাড়া এক একটা বাইকের, কিন্তু ওই বালিয়ারিতে চালানোর এক্সাইটমেন্টই আলাদা।
এখানেই Double Hump Camel পাওয়াযায়, পিঠে চাপতেও পারেন, পৃথিবীর অতি দূর্লভ প্রানী, কাজাখাস্তান আর লাদাখেই পাওয়া যায় একমাত্র।
পৃথিবীর কঠিনতম প্রকৃতি আর রাস্তায় কাটানো একটা দিনের শেষ হল ছবির মত সুন্দর একটা ক্যাম্পে। টেন্ট রাত কাটানোর প্রথম সুযোগ আর পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে একটা ছোট নালা। এখানে সোলার বা জেনারেটরে রাত ৭টা থেকে ১১টা অব্ধি বিদ্যুৎ দেওয়া হয়। মোবাইলে কোন সিগন্যাল নেই, রাতে আলো বলতে ঝকঝকে আকাশে বিশাল একটা চাঁদ। শান্তির ঘুমে চোখ বুজে এলো...
Khardung La Top 


৬ষ্ঠ দিন - (২৮শে আগষ্ট)

আজকে সকালে আমরা বেড়লাম তুলনামুলক একটু বেলায়, গন্তব্য টুরটুক গ্রাম (Turtuk Village) । প্রথমেই বলে রাখি এই গ্রামটির একটি বিশেষত্ব আছে। ১৯৭১ সালের আগে এটি পাকিস্থানের গিলগিট - বালতিস্থান প্রদেশের অংশ ছিল, পরে ভারত পাকিস্থানের থেকে ১৯৭১ সালে এটি ছিনিয়ে নেয়, শুধু টুরটুক না, তাকশি, চালুনখা এবং থাং গ্রাম গুলিও দখল করে ভারত। এখানের বাসিন্দারা মূলত মুসলিম। লাদাখি আর উর্দুর পাশাপাশি এদের মূল ভাষা বাল্টি। ভারতের সিয়াচেন গ্লেসিয়ারের উপর দখল মূলত কায়েম হয়ে আছে নুব্রা ভ্যালির এই সব  গ্রামগুলির দখলের কারনে। আমাদের টেন্ট থেকে বেড়িয়ে ঘন্টা খানেক আসলেই চোখে পরে সারি সারি মিলিটারি ব্যরাক, তার মধ্যে একটিতে সুবিশাল রানওয়ে আছে, নিরাপত্তার কারনে এখানে ফটোগ্রাফি তোলা নিষেধ, আর একটা কথা অনেকবার করে লেখা আছে কাঁটাতারের বেড়ায় (Trespassers will be Shot), মানে কথা-টথার কোনো সিন নেই!
যাইহোক, এই যায়গা পেড়িয়ে আমরা একটু চা-টা খেলাম, এখানে ভালো আপেল, এপ্রিকট এসব পাওয়া যায়, তুলনামূলক সস্তা। কিছুটা এগিয়ে টুরটুক ঢোকার আগে, আমরা দাঁড়ালাম, k2 (মাউন্ট গডউইন-অস্টিন)-কে দেখার জন্য। এখান থেকে খালি চোখেই দেখা যায়, চিন আর পাকিস্থানের বর্ডারে দাঁড়িয়ে থাকা পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাহাড় k2-কে, যা পৃথিবীর কঠিনতম চ্যালেঞ্জ পর্বতারোহীদের, শোনা যায় আজ পর্যন্ত কেউ শীতকালে এই পাহাড় চরতে পারেনি।
আমাদের গন্তব্য ছিল টুরটুক, কিন্তু এসে শুনলাম, এই বছরের এপ্রিল থেকেই ভারত সরকার টুরটুক পেড়িয়ে শেষ গ্রাম এবং ভারত পাকিস্থানের বর্ডার থাং-এ যেতে দেয়। এর জন্য ইন্ডিয়ান আর্মির থেকে স্পেশাল পারমিশন করাতে হয় আর নিজেদের আই কার্ড জমা রাখতে হয়। আমরা চল্লাম থাং-এর উদ্দেশ্যে। টুরটুক থেকে ১০-১৫ কিমি দূরে থাং হল শেষ গ্রাম বা প্রথম গ্রাম ভারতের, ৫০০ মিটার দূরত্ব থেকে আপনি দেখতে পারেন, কারন স্থানীয় লোক আর সেনাবাহিনি ছাড়া গ্রামে প্রবেশ নিষেধ। এই গ্রাম থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ভারত পাকিস্থান বর্ডার, দুই দেশের বাংকারই খালি চোখে দেখা যায়। প্রায় তিন দিক ঘেড়া পাকিস্থান আর্মি দ্বারা এই জায়গা, মাঝে উড়ছে আমাদের জাতীয় পতাকা। এখানে একটি ছোট দোকান আছে আর্মির - মোমো আর ম্যাগি পাবেন। পাকিস্থান আর্মির নাকের ডগায় বসে আয়েশ করে খেয়ে এলাম, এখানে শেষ গুলি চলেছে ২০০৪-এ, তারপর থেকেই সিজ ফায়ার।
থাং থেকে নেমে টুরটুক ঘুড়লাম, এখানে বাল্টি কিচেন বলে একটি রেস্তোরা কাম বাগানবাড়ি কাম এপ্রিক্ট ক্ষেত আছে। একদম গাছের তলায় বসে, কচি কচি আখরোট, এপ্রিক্ট দেখতে দেখতে ভেষজ চা খান, খাঁটি কিছু কিনতে চাইলে কিনতে পারেন। বিকেলটা এখানে কাটিয়ে নেমে এলাম আবার নুব্রায় আমাদের টেন্টে... 


Turtuk Village


Last/First Indian Village Thang From Indian Army's Banker
৭ম দিন - 
আজকে আমাদের গন্তব্য প্যাংগং লেক ( উচ্চতা ১৪২০০ ফুট)। ছবির মত সুন্দর এই লেকের খোঁজ বেশীর ভাগ লোক "Three Idiots" মুভ্যি থেকেই পেয়েছেন। এই লেক প্রায় ১৩৪ কিমি লম্বা যার ৬০% চিনের অংশভুক্ত। এটি একটি endorheic lake, অর্থাৎ এর জল কোনভাবে নদী বা অন্যকোন উপায়ে বাইরে যায় না, স্বাভাবিকভাবেই এটি তীব্র লবনাক্ত, সম্ভবত এত উঁচুতে এটাই লবনাক্ত জলের সব থেকে বড় হ্রদ। অবাক করার ব্যাপার হল, লবনাক্ত হওয়া সত্বেও শীতকালে এটি সম্পূর্ন জমে যায়। নুব্রা থেকে প্যাংগং-এর রাস্তায় বিশেষ কিছু নেই, লাদাখের পাহাড়, নীল আকাশ আর পাশে বয়ে চলা বরফ গোলা জলে পূর্ন নদী ছাড়া। তবে খারাপ রাস্তার শুরু সেটা বোঝা যাচ্ছিল। প্যাংগং কি অসামান্য সেটা তার ফোটো না দেখলে বোঝা যাবে না, তবে এখানে আসলে একটু সাবধানে হাঁটা চলা করবেন। উচ্চতা, ঠান্ডা, কম অক্সিজেন, অনেক জার্নি করার ফলে শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তি আসে। বেশী দৌড়া দৌড়ি করলে হাঁপিয়ে যাবেন। আমাদের কয়েক জনের প্রবলেম হয়েছিল, তবে ব্যাপারটা অনেকটাই মানসিক।

৮ম দিন - 
আজকে আমরা সকালে সোমোরিরি লেকের উদ্দেশ্যে বেড়লাম। আমার বেশ জ্বর ছিল, তাই রাস্তা খুব একটা উপভোগ করতে পারিনি। কিন্তু রাস্তা বলতে প্রায় কিছুই নেই, প্যাংগং থেকে সোমোরিরি প্রায় ২৪০ কিমি রাস্তা এবং প্রায় পুরোটাই মাটি বা পাথরের। সোমোরিরিতে ভারতীয় নাগরিক ছাড়া প্রবেশ নিশিদ্ধ। এই লেক পুরোটাই ভারতে (উচ্চতা ১৫০০০ ফুট), এর জল ক্ষারিয় এবং জলে নামা যায় না। 


শেষ দিনে সোমোরিরি থেকে আমরা একটু জলদি লেহ-তে নেমে এসেছিলাম, অনেকের টুকটাক কেনার ছিল। লাদাখ শুধুমাত্র একটা ট্যুর না, লাইফ টাইম এক্সপেরিএন্স। পৃথিবীর সর্বোচ্চ পাসে কাটানো কয়েক দিন, ঠান্ডা রুক্ষ হাওয়া, বালি, পাথর, সুউচ্চ পর্বত সব কিছু যেন অপেক্ষা করেছিল আমাদের। ভিষন ভিষন ভালো লেগেছে, প্রমিস করে এসেছি আর একবার অবশ্যি যাবো।

ফোটোর লিঙ্ক নিচে রইল -  

Comments

Popular posts from this blog

|| Manipur ||

|| Tawang, Arunachal Pradesh ||